IQNA

ইমাম খোমিনির(রহ.) দৃষ্টিতে বিপ্লবের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মানবিকতা

0:14 - February 17, 2018
সংবাদ: 2605071
ইমাম খোমেনি (রহ.) মানবজাতির মানবিকীকরণ ও প্রশিক্ষণকে ইসলামী বিপ্লবের প্রধান উদ্দেশ্যটি বিবেচনা করতেন। যে কোন সমাজে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা যায় কিন্তু ইসলামী বিপ্লবের মূল লক্ষ হচ্ছে সমাজের নৈতিকতা ও নৈতিক মাপকাঠির উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেয়া।

 

 

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপিকা ড. নাজমা কিখা, ইমাম খোমেনির চিন্তাধারার উপর ভিত্তি করে ইসলামী বিপ্লবের দর্শন ব্যাখ্যা করে বলেন: ইমাম খোমিনী (রহ.) যেহেতু বিখ্যাত ফকীহ ও মারজায়ে তাকলীদ ছিলেন তাই তার উচ্চতর দার্শনিক চিন্তাধারার তেমন প্রচার হয় নি।

কিন্তু ফেকাহশাস্ত্রের ক্ষেত্রেও ইমাম খোমিনির (রহ.) দার্শনিক ও নৈতিক চিন্তাধারা দারুণভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

ইমাম খোমিনীর (রহ.) ইসলামী বিপ্লব ছিল নানামুখী। তিনি যেমন ইসলাম ও ফেকাহ শাস্ত্রের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন তেমনি গুরুত্ব দিয়েছেন দর্শন, নৈতিকতা এবং প্রজ্ঞার প্রতি।

ড. নাজমা কিখা বলেন: ইমাম খোমিনি (রহ.) যে একজন উচ্চু মানের বড় দার্শনিক ছিলেন তার বড় প্রমাণ হচ্ছে তার হাতেই গড়ে উঠেছিলেন, শহীদ মোতাহারি, শহীদ বেহেশতি, আয়াতুল্লাহ মোফাততেহ, আল্লামা তাকি জাফারি, আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমুলি এবং আনসারী শিরাজি প্রমুখ।

তিনি বলেন: ইমাম খোমিনি (রহ.) দীর্ঘদিন দর্শন ও হেকমত শিক্ষা দিয়েছেন আর এর উপর তার অনেক মূল্যবান লেখনি রয়েছে, যেমন: আসরারুস সালাত এবং চল্লিশ হাদিস গ্রন্থ উল্লেখযোগ্য।

ড. নাজমা কিখা বলেন: ইমাম খোমিনির (রহ.) আদর্শ যেহেতু মহানবী(সা.) ও পবিত্র আহলে বাইত ছিলেন তাই তিনি সেভাবেই ইসলামী বিপ্লব গঠন করেন। মহানবী বলেছেন: আমি নৈতিক চরিত্রকে পূর্ণতায় পৌঁছানোর জন্য নবী হিসাবে প্রেরিত হয়েছি।  শাবিস্তান

captcha