IQNA

আলোর হাতছানি

আফ্রিকায় ইসলামী অর্থনীতির অমিত সম্ভাবনা

0:03 - October 03, 2022
সংবাদ: 3472570
তেহরান (ইকনা): আগামী ১০ বছরে আফ্রিকায় ইসলামী ব্যাংকিং উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আর তা করা হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশের বৃহৎ মুসলিম জনসংখ্যার কারণে। অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘মুডি’র এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে। মুডির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জ্যৈষ্ঠ বিশ্লেষক মিক কাবিয়া বলেন, এই খাতে বিপুল সম্ভাবনা আছে।
তা আছে আফ্রিকার বিপুলসংখ্যক মুসলিম জনসংখ্যা ও তার (ইসলামী ব্যাংকিং) দুর্বল সূচনার কারণেই। আফ্রিকায় মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৫৩০ মিলিয়ন। আফ্রিকার মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ। উত্তর আফ্রিকায় মুসলমানের জনসংখ্যার হার ৯০ শতাংশের চেয়ে বেশি। এটা প্রায় মধ্যপ্রাচ্যের সমান এবং মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোর চেয়ে বেশি। কেননা, সেখানে মুসলমানের হার ৬০ শতাংশ। 
 
আফ্রিকার বিপুলসংখ্যক মানুষ এখনো ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে আছে। তাদের অনেকেই ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে দূরে থাকে। ফলে আফ্রিকায় আমানত সঞ্চয় ও বিনিয়োগের বড় একটি সম্ভাবনা দৃষ্টির বাইরে থেকে গেছে। তবে এটাও ঠিক, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট আগামী ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করবে। 
 
আফ্রিকায় প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর প্রতিযোগিতাও ইসলামী ব্যাংকিংয়ের উন্নয়নের পরিবেশ কঠিন করে তুলছে। এ ছাড়া ইসলামী অর্থায়ন খাতে প্রাতিষ্ঠানিক আইন, নিয়ন্ত্রণ ও করব্যবস্থা উন্নয়নের একদম প্রাথমিক অবস্থায় আছে। কাবিয়া বলেন, ইসলামী ঋণব্যবস্থা ও সেবাগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে ইসলামী ব্যাংকিং খাতের জন্য আইনি কাঠামো অপরিহার্য।
 
ডিসেম্বর ২০২১-এর তথ্য মতে, বৈশ্বিক বিচারে আফ্রিকায় ইসলামী ব্যাংকিংয়ের পুঁজির পরিমাণ মাত্র দুই শতাংশ এবং স্থানীয় মোট ব্যাংকিংয়ের মাত্র ১০ শতাংশ। যদিও আফ্রিকার সাব-সাহারান অঞ্চলে বিশ্বের ১৫ শতাংশ মুসলিম বাস করে। ব্যতিক্রম সুদান ও জিবুতি। সুদানের পুরো অর্থব্যবস্থা শরিয়াহভিত্তিক এবং জিবুতিতে ইসলামী ব্যাংকিয়ের মূলধন ব্যাংকিং খাতের মোট মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি।
 
সূত্র : জাওয়া ডটকম
captcha