বার্তা সংস্থা ইাকনা'র রিপোর্ট: বিভিন্ন রেওয়ায়েত থেকে বোঝা যায় যে ,মানুষের স্বনির্ভরতার কারণ হচ্ছে তারা স্বল্পে তুষ্ট। অন্য কথায় মানুষের পার্থিব ধন-সম্পদ বেশী হওয়ার পূর্বে যার মাধ্যমে স্বনির্ভর হবে আত্মিক প্রশান্তি তথা আত্মিক স্বনির্ভরতার প্রয়োজন। আল্লাহ তা ’ আলা তাদেরকে যা দিয়েছেন তারা তাতেই সন্তুষ্ট। কাজেই অন্যের সম্পদের দিকে তাদের কোন লোভ বা লালসা থাকবে না।
যদিও ইতিপূর্বে অর্থাৎ ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবের পূর্বে মানুষ ,লালসা ও সম্পদের আধিক্যের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল এবং গরিবদের প্রতি দান-খয়রাতের কোন ইচ্ছাই তাদের মধ্যে ছিল না। মোটকথা ইমাম মাহদী (আ.)-এর সময়ে মানুষ বাহ্যিক ও আন্তরিক উভয় দিক থেকেই স্বনির্ভর থাকবে। এক দিকে অধিক সম্পদ সমভাবে বণ্টিত হবে অন্য দিকে অল্পে তুষ্টি মানুষকে স্বনির্ভর করবে।
এ সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন: আল্লাহ তা ’ আলা উম্মতে মুহাম্মদিকে স্বনির্ভর করবেন এবং সকলেই ইমাম মাহদী (আ.)-এর ন্যায়পরায়ণতার অন্তর্ভুক্ত হবে। ইমাম মাহদী একজনকে বলবেন যে ঘোষণা কর:
কার সম্পদের প্রয়োজন আছে ?তখন সবার মধ্য থেকে মাত্র একজন বলবে আমার! তখন ইমাম (আ.) তাকে বলবেন: ক্যাশিয়ারের কাছে যেয়ে বল ,‘ ইমাম মাহদী (আ.) আমাকে পাঠিয়েছেন এবং আমাকে টাকা দিতে বলেছেন। তখন ক্যাশিয়ার তবে বলবে: তোমার জামা (আরবি লম্বা জামা) নিয়ে এস ,অতঃপর তার জামা অর্ধেক টাকায় ভরে দেওয়া হবে। সে ওই টাকা গুলোকে পিঠে করে নিয়ে যেতে যেতে ভাববে: উম্মতে মুহাম্মদির মধ্যে আমি কেন এত লোভী। অতঃপর সে তা ফিরিয়ে দিতে চাইবে কিন্তু তার কাছ থেকে তা গ্রহণ করা হবে না এবং তাকে বলা হবে: আমরা যা দান করি তা আর ফেরত নেই না।
শাবিস্তান