বার্তা সংস্থা ইকনা: তুরস্ক ও চীনের কয়েক জন বিজ্ঞানী ঘোষণা করেছেন, অতি প্রাচীন কয়েক টুকরা কাঠের টুকরার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে উক্ত টুকরাগুলো হযরত নূহের (আ.) নৌকা বানানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন: এসকল কাঠের টুকরা আরারাত মাউন্ট এবং সমুদ্রের ৪৫০০ মিটার নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কাঠের টুকরাগুলোর উপর পুরু বরফ ছিল এবং অগ্ন্যুৎপাতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এগুলো প্রায় ৪৫০০ বছর পূর্বের অন্তর্গত।
বিজ্ঞানীদের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ হয়েছে, আমরা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিতরূপে নয় বরং ৯৯.৯ শতাংশ ধারণা করছি এই কাঠের টুকরাগুলো হযরত নূহের (আ.) নৌকা বানানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পবিত্র কুরআনে সূরা মু'মিনূনের ২৭ নম্বর আয়াতে হযরত নূহ (আ.)এর কাহিনীর একাংশ তুলে ধরা হয়েছে।
فَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِ أَنِ اصْنَعِ الْفُلْكَ بِأَعْيُنِنَا وَوَحْيِنَا فَإِذَا جَاءَ أَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّورُ فَاسْلُكْ فِيهَا مِنْ كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَأَهْلَكَ إِلَّا مَنْ سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ مِنْهُمْ وَلَا تُخَاطِبْنِي فِي الَّذِينَ ظَلَمُوا إِنَّهُمْ مُغْرَقُونَ
অতঃপর আমরা তার নিকট প্রত্যাদেশ করলাম, ‘তুমি আমাদের তত্ত্বাবধানে ও আমাদের প্রত্যাদেশ অনুযায়ী তরণী নির্মাণ কর; অনন্তর যখন আমার আদেশ আসবে এবং তন্দুর (চুলা) হতে পানি স্ফীত হবে তখন তুমি তাতে প্রত্যেক জোড়া (প্রাণী) হতে দু’টি করে উঠিয়ে নিও এবং তোমার পরিবার-পরিজনকেও; কেবল তাদের মধ্যে সে ব্যক্তি ব্যতিরেকে যার ব্যাপারে পূর্বেই (আমার) ফয়সালা হয়েছে এবং তাদের সম্পর্কে তুমি আমাকে কিছু বল না যারা অবিচার করেছে; (কেননা,) তারা নিমজ্জিত হবে।