বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সুতরাং মাহদাভী পরিবার গঠন করার জন্য সবার আগে একজন মু’মিন পুরুষকে মু’মিন নারীর সাথে বিবাহ করতে হবে। তারা দুজন মিলে একটি পাক পবিত্র সংসার গড়ে তুলবে যেখান থেকে তৈরি হবে ইমাম মাহদীর পাক-পবিত্র সৈনিক।
সুতরাং বিবাহের উদ্দেশ্য হতে হবে অতি মহত শুধুমাত্র কামনা বাসনার পূরণ করার জন্য বিবাহ করলে তা কখনোই আমাদেরকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌছাতে পারবে না। বিবাহের লক্ষ হতে হবে, শান্তি, পূর্ণতা এবং জ্ঞানার্জন।
সূরা রুমের ২১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন:
وَمِنْ آَيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآَيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
এবং তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে আর এক নিদর্শন (হচ্ছে): তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা ওদের নিকট শান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহানুভূতি সৃষ্টি করেছেন; নিশ্চয় চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে নিদর্শন আছে।
ইসলামে এমনভাবে পরিবার গঠন করতে বলা হয়েছে যেখানে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মধুর সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে; মতবিরোধ, উত্তেজনা ও ঝগড়া ঝাটি থাকে না।
ভালোবাসা হচ্ছে স্বামী ও স্ত্রীর প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত উপহার। এটি না থাকলে পৃথিবীতে কোনো দাম্পত্য জীবন টিকে থাকত না।
মাওলা আলী(আ.) বলেন: আমার স্ত্রী হযরত ফাতিমা যাহরা আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করার জন্য অতি উত্তম সঙ্গিনী। আর এজন্যই তারা দুনিয়াকে ১১ জন ইমাম উপহার দিতে পেরেছেন। তার অন্যতম হচ্ছেন ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন এবং সর্বশেষ ইমাম মাহদী।
মহান আল্লাহও ওয়াদা করেছেন যারা ভালকাজ করবে আল্লাহ তার অন্তরে মাওলা আলীর ভালবাসা দান করবেন। শাবিস্তান