ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ফার্স প্রদেশের গভর্নরের রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, ও সামাজ বিষয়ক উপ-পরিচালক ইসমাইল মোহেব্বিপুর ঐ হতাহতের কথা জানিয়েছেন।
তিন সন্ত্রাসী স্বয়ংক্রিয় কালাশনিকভ রাইফেল দিয়ে বিকেল পৌনি ছয়টা নাগাদ শাহ চেরাগ (আ.)-এর মাজারের বাইরে জিয়ারতকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মোহেব্বিপুর বলেন: সন্ত্রাসীরা শাহ চেরাগ (আ.)-এর পবিত্র মাজারে প্রবেশের পর পবিত্র মাযার জিয়ারতকারীদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি করে।
তিনি বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের পরিচয় সম্পর্কে এখনও কোন সঠিক তথ্য জানা যায়নি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জন শহীদ এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। একজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাকে গ্রেফতার করা হয়েছ সে একজন তাকফিরি সন্ত্রাসী।
ঘটনাস্থল থেকে ইকনা সাংবাদিকদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার পর হযরত শাহ চেরাগ (আ.)-এর পবিত্র মাজারের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং চারপাশে বিশেষ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সর্বশেষে খবর অনুযায়ী, শহীদদের মৃতদেহ এবং আহতদের শিরাজ মুসলিম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, এবং আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ঘোষণা করা হয়েছে, যদিও আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন পরিসংখ্যান ঘোষণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর, ইরানের প্রেসিডেন্ট একটি বার্তা জারি করেছেন এবং এই বিষয়েরে উপর জোর দিয়ে বলেছন: এই সন্ত্রাসীমুলক কাজের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
গতকাল রাত ২২:৩০শে ফারস গভর্নরেটের জনসংযোগ মিডিয়াকে শহীদ ও আহতদের সংখ্যা সম্পর্কে নতুন তথ্য সরবরাহ করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে: সন্ত্রাসী হামলার প্রথমে ১৩ জন শহীদ ও ২১ জন আহত হয়েছেন এবং আহতদের মধ্যে দুজনের শাহাদাত বরণ করেন। এই দু’জনের আঘাতের তীব্রতার কারণে তারা শাহাদাত বরণ করেন।
এছাড়াও, ফার্স গভর্নরেটের জনসংযোগ জানিয়েছে যে এই সংখ্যার মধ্যে ৪ শিশু আহত এবং ২ শিশু শহীদ হয়েছে।
তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এছাড়াও, ফার্স প্রদেশের গভর্নরের রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, ও সামাজ বিষয়ক উপ-পরিচালক ইসমাইল মোহেব্বিপুর ঘোষণা করেছেন যে, শাহ চেরাগের (আ.) মাজারে সন্ত্রাসী ঘটনার পরে, ফার্স প্রদেশে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
4094747