রাসূলে আকরাম (সা.) পবিত্র রমজান মাসকে মহান আল্লাহর মাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই মাস আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম মাস এবং এই মাসের দিনগুলি সর্বোত্তম দিন এবং এই মাসের রাতগুলি সর্বোত্তম রাত এবং এই মাসের ঘণ্টাগুলি সর্বোত্তম ঘণ্টা। এই মাসের প্রতিটি আমল ও দোয়া কাবুল হয়।
ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কষ্ট সহ্যকারী রোজাদারের জন্য ইসলামের নবীর উপদেশ হল পাঁচটি দলের বিরুদ্ধে পাঁচটি কাজ;
১) বঞ্চিতদের সহায়তা ও যত্ন নেওয়া।
২) বয়স্কদের সম্মান করা।
৩) শিশুদের প্রতি ভালবাসা এবং উদারতা প্রদর্শন করা।
৪) পরিচিত ও আশেপাশের লোকজনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা।
৫) এতিমদের প্রতি মেহেরাবন হওয়া।
সারা বছর এসব কাজের সুপারিশ করা হলেও এ পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে পবিত্র রমজান মাসে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এগুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন।
খুতবায়ে শাবানিয়ায় এই পাঁচটি বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসে রোজাদারদের জন্য সৌভাগ্য ও উচ্চ পদ লাভের পথ ব্যাখ্যা করার পর তিনি তাদের এই সুসংবাদ দেন যে, হে জনগণ! এই মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খোলা থাকে, তাই আপনার প্রভুকে বলেন, যেন সেগুলি আপনার জন্য বন্ধ করে না দেন এবং জাহান্নামের দরজাগুলি এই মাসে বন্ধ রয়েছে, তাই মহান আল্লাহকে অনুরোধ করুন, যেন সেগুলি আপনার জন্য খুলে না দেয়।